আজও নির্ধারিত সময়ে ট্রেন

পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ আনন্দ করতে রাজধানী থেকে বাস ও লঞ্চের পাশাপাশি ট্রেনে করেও বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ঈদের ছুটি শুরুর পর গতকালের মতো আজ শনিবারও (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। বড় কোনোধরনের শিডিউল বিপর্যয় নেই এখন পর্যন্ত।

রেলওয়ে পুলিশ এবং কমলাপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নভাবে তাদের গন্তব্যে যেতে পারেন সে বিষয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। 

কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের প্রায় ২০ জোড়া ট্রেন ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ট্রেনে যাত্রী উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। ঈদ উপলক্ষে চালু হয়েছে বিভিন্ন গন্তব্যে স্পেশাল ট্রেন সেগুলোও নির্ধারিত সময়ে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। জামালপুর এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, ধুমকেতু এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ছেড়ে গেছে নির্ধারিত সময়ে।

ট্রেন ছাড়ার আগ মুহূর্তে কথা হয় সাইদ নামে এক যুবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই কমলাপুর রেলস্টেশনে উপস্থিত হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম যাত্রী সংখ্যা প্রচুর হবে; এজন্য একটু সময় নিয়েই কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছিলাম। তবে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছাড়ছে। 

পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামে যাচ্ছেন কর্মজীবী সৈকত। তিনি বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটতে পেরেছিলাম। তবে তারপরও মনের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা ছিল, যাওয়ার সময় ট্রেনের পরিস্থিতি কী হয়। কিন্তু সব শঙ্কা দূর করে এখন বাড়ির পথে রওনা হচ্ছি। একেবারে উপচেপড়া ভিড় সেটা বলছি না; তবে সামনের স্টেশনগুলোতে গিয়ে পরিস্থিতি কী হবে, তাই এখন দেখার বিষয়।

কামরান নামে আরেক যাত্রী বলেন, এবার কমলাপুর রেলস্টেশন বেশ পরিচ্ছন্ন মনে হয়েছে। ট্রেনের সিটগুলো পরিষ্কার। সবচেয়ে বড় বিষয় ট্রেন নির্ধারিত সময় ছাড়ছে। কোনোধরনের বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়নি। তবে টিকেট কাটার জন্য বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। টিকিট কাটা ছাড়া বাকি জার্নি ঠিকঠাক রয়েছে।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বলেন, সিডিউল অনুযায়ী ট্রেনগুলো যেন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকে বড় কোনও সিডিউল বিপর্যয়ের খবর নেই। প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের ১০ থেকে ১৫ মিনিটের কাছাকাছি সময়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সবকিছুতেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।