চাঁদরাতে জমেছে সারাদেশের ঈদ বাজার

শেষ মুহূর্তে চাঁদরাতে জমে উঠেছে গ্রাম-মফস্বল ও শহরতলীর ঈদ বাজার। কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতারা। পর পর দুই বছর মহামারির কারণে গ্রামের বাজারগুলোতে কেনাবেচা হয়নি বললেই চলে। এবার চাঁদরাতে রীতিমতো ঢল নেমেছে ক্রেতাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলার অধিকাংশ এলাকার মানুষের কাছে দেশির পাশাপাশি বিদেশি পোশাকেরও বেশ চাহিদা রয়েছে। গ্রামের মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তসহ সকল শ্রেণির মানুষই আসছেন বাজারে। ঈদের আমেজে ধুম পড়েছে কেনাকাটার। আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না কারও মাঝে।

রেখা নামের এক ক্রেতা বললেন, পরিবারসহ ঈদের শপিং করতে আসছি। প্রথমে ভেবেছিলাম তেমন কেনাকটা হবে না। পরে ছেলেমেয়েদের আবদার পূরণ করতে মার্কেটে আসতেই হলো। এবার শাড়ি ও থ্রি-পিসের দাম বেড়েছে। কিন্তু কাপড়ের মান আগের মতোই। নরমাল কাপড়ের দামও অনেক বেশি। পাঁচ-ছয়শ’র প্রিন্টের শাড়ি এখন ৮০০-৯০০ টাকা। হাজারের নিচে থ্রি-পিস পাওয়াই যাচ্ছে না।

মো. আব্দুল কাদের বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। তিনি এসেছেন ছেলেমেয়েদের নিয়ে।

খুলনায় শেষ দিকে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে

‘মেয়েকে থ্রি-পিস আর মেহেদি কিনে দিয়েছি। ছেলেকে পাঞ্জাবি। নিজের জন্য একটা লুঙ্গি কিনেছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যেমন, জামা-কাপড়ের অবস্থাও তেমন। দিন দিন সব ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাচ্ছে। যে বেতন পাই তা দিয়ে চলছে না। সামনের দিনগুলোতে ছেলেমেয়েদের শখ আহ্লাদ পূরণ করা আর সম্ভব হবে না।’

ছিদ্দিকুর রহমান কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি বললেন, ‘গত দুই বছর করোনার কারণে দোকানই খুলতে পারিনি। লকডাউনে আমরা খুব লস দিয়েছি। কর্মচারীর বেতনও দিতে হয়েছিল। তাছাড়া মানুষের কাছেও টাকা-পয়সা ছিল না। এবার রমজানে মোটামুটি ভালো বেচাকেনা হয়েছে। বিশেষ করে চাঁদরাতে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয়।’

দামের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার আমাদেরও বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়েছে।