ঈদে কারাগারে বিশেষ ব্যবস্থা, বন্দিরা পাচ্ছে উন্নত খাবার

দেশের কারাগুলোতে বন্দিদের ঈদ উদযাপনে বিশেষ আয়োজন করেছে কারা অধিদফতর। উন্নত খাবার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের ঈদ উপহার সামগ্রী বন্দিদের মধ্যে বিতরণ ও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের কারাগারগুলোতে।

মঙ্গলবার (৩ মে) সকালে দেশের বিভিন্ন কারাগারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকাল ৮টায় কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের মাঠে আমাদের ৯ হাজার বন্দি ঈদের নামাজ আদায় করেছে। তাদের সকালে পায়েস ও মুড়ি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও তারা ঈদের দিন তিনবেলা উন্নত খাবার পাবেন।

করোনার কারণে গত দুই বছর কারাগারগুলোতে ঈদের জামাত বন্ধ ছিল। এমনকি স্বজনদের খাবার সরবরাহ নিষেধ করা হয়েছিল। এবার প্রকোপ কমে আসায় আবারও ঈদের জামাত চালু করা হয়েছে। সুযোগ দেওয়া হচ্ছে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার। তবে এবারও বাড়ির খাবার সরবরাহ বন্ধই থাকছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার, নারী কারাগার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২-এ  ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়েছিল। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এর সিনিয়র জেল সুপার আমিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বন্দিদের সুস্বাদু ও উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। সকালে পায়েস ও মুড়ি এবং দুপুরে পোলাও, মাংস দেওয়া হয়েছে। বন্দিরা আজকে নিজেদের মধ্যে গল্প-গুজব করে সময় কাটাচ্ছে। স্বজনরাও দেখা করতে আসছেন।’

কাশিমপুর কারাগারে বন্দিদের জন্য ঈদের পোশাক পাঠিয়েছে গাজীপুর জেলা প্রশাসক, যা বন্দিদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারেও ছিল ঈদের আমেজ। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দুই হাজার বন্দিকে নতুন পোশাক দিয়েছেন। তা বন্দিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের সব কারাগারের মতো চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্দিদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বন্দিদের স্বজনরা নতুন পোশাক দিয়েছেন, তাও তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’

এবারও বাড়ির খাবার পাচ্ছে না বন্দিরা

কারাগারগুলোতে এবারও ঈদের দিন তিনবেলা বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদের দিন সকালে পায়েস ও মুড়ি, দুপুরে পোলাও রোস্ট এবং রাতে পোলাও-মাংস, মাছ, সালাদ, পান সুপারি ও কোল্ড ড্রিংসের ব্যবস্থা থাকবে। তবে করোনার কারণে এবারও স্বজনদের খাবার বন্দিদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।