চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুবাইয়ে থাকা স্বামীর কাছে নারীদের পাঠাতো স্ত্রী

ড্যান্স বারে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন বয়সের নারীদেরকে দুবাইয়ে থাকা স্বামীর কাছে পাঠাতো তার স্ত্রী। দেশে থাকা স্ত্রীর নাম অনামিকা আক্তার কাকলি। তার স্বামী রফিকুল ইসলাম রানা বর্তমানে দুবাই প্রবাসী। তারা মূলত নারী পাচারকারী। দুবাইয়ে পাঠানো নারীদের অসামাজিক কাজে জড়িত হতে বাধ্য করা হতো।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) র‌্যাব-৩ এর অভিযানে গ্রেফতার মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য অনামিকা আক্তার কাকলি জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার (৬ মে) র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (অপারেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স) বীনা রানী দাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই চক্রটি গত দুই বছরে প্রায় ৪০ জন নারীকে দুবাই পাঠিয়েছে। তাদের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

র‌্যাব জানায়, মানবপাচারের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে অনামিকা আক্তার কাকলিকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার স্বামী রফিকুল ইসলাম রানা বর্তমানে দুবাই অবস্থান করছে। চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেশের বিভিন্ন এলাকার নারীদের পাসপোর্ট সংগ্রহ করতো কাকলি। দুবাইয়ে থাকা তার স্বামী রফিকুল ইসলাম ওই নারীদের জন্য ভ্রমণ ভিসা ও টিকিটের ব্যবস্থা করতো।  

র‌্যাব আরও জানায়, ডান্স বারে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও দুবাই যাওয়ার পর এসব নারীকে বিভিন্ন হোটেলে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করা হতো। গত বছরের নভেম্বর মাসে ভ্রমণ ভিসায় দুবাইয়ে যাওয়া এক নারী র‌্যাবের কাছে এমন অভিযোগ করে। ওই নারী দেশে ফিরে আসতে চাইলেও চক্রটি তাকে দুবাইয়ে আটকে রাখে। অভিযোগ পেয়ে কাকলিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।