অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর অধীনে জারি করা অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা- ২০২২ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়েল করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার বাদী হয়ে রিটটি দায়ের করেছেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির শুনানি হতে পারে।

রিট আবেদনে নীতিমালা অনুযায়ী বিধিনিষেধ ছাড়া ২১ বছরের অধিক বয়সীদের যেকোনও স্থানে বসে মদ খাওয়া ও বহন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১৮ এর অধীনে অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২ জারি করা হয়। এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮, অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ (লাইসেন্স ও পারমিট ফিস) বিধিমালা- ২০১৪, মুসলিম প্রহিবিশন রুল- ১৯৫০ ও এক্সাইজ ম্যানুয়াল (ভল্যুম-২) ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে অ্যালকোহল সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা হতো।

অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২ এ বেশকিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, বিধিমালা অনুযায়ী, মদ কেনাবেচা, পান ও পরিবহনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স, পারমিট ও পাস নিতে হবে। কোথাও কমপক্ষে ১০০ জন মদের পারমিটধারী থাকলে ওই এলাকায় অ্যালকোহল বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে। আর ২০০ জন হলে দেওয়া হবে বারের লাইসেন্স। ২১ বছরের কম বয়সের ব্যক্তি মদপানের অনুমতি পাবেন না। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্যাক্রামেন্টাল ওয়াইন (আঙুরের নির্যাস থেকে তৈরি মদ) ব্যবহারের জন্য বিশেষ পারমিট দেওয়া যাবে। বিধিমালায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য চোলাই মদের মহালের সংখ্যা ও অবস্থান নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মদপানের অনুমতি পাবেন চা বাগানের শ্রমিকরাও।