ঢাকায় ভোরে কালবৈশাখী, আজও বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ভোরে হঠাৎ কালবৈশাখীর দাপট দেখলো রাজধানী ঢাকা। থেমে থেমেই আকাশে দেখা গেছে বিদ্যুতের ঝলকানি। সেই সঙ্গে তুমুল বৃষ্টিতে ভেসে গেছে ঢাকার রাস্তাঘাট। গতকাল শুক্রবার (২০ মে) বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও সারাদিন সূর্যের তাপে পুড়েছে রাজধানীর মানুষ। ভোরের এই বৃষ্টি স্বস্তি বয়ে এনেছে।

গত ১২ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ডিমলায় ৬৫ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৪২ মিলিমিটার। এর বাইরে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ৪২, নওগাঁর বদলগাছিতে ৪৩, রংপুরে ৪৫, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রায় সব এলাকায় কম বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক মনোয়ার হোসেন জানান, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন বৃষ্টি হয়েছে। আজও অনেক এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কমে এসেছে। গতকালকের তুলনায় আজ ঢাকায় বৃষ্টি বেশি হওয়ায় আবহাওয়া এখনও ঠাণ্ডা। তবে দুপুরের দিকে কিছুটা গরম পড়তে পারে। বিকালে আবার তা কমে আসতে পারে বলে তিনি জানান।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উপসাগর ও মিয়ানমারে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। অপর একটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সাথে প্রল বিশী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে আজ ২১ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর গুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।