সিন্ডিকেটের জন্য যথেষ্ট চাপ দেওয়া হয়েছে: ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সিন্ডিকেট করার চেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তবে সরকারিভাবে এ সিন্ডিকেটের পক্ষে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে মনে করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সিন্ডিকেট চান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে অনেক আগেই সিন্ডিকেট হয়ে যেতো, সেটা হয়নি। উনি (সিন্ডিকেট) চাননি বলেই এখন পর্যন্ত হয়নি, এটা আমি মনে করি।’ 

শনিবার (২১ মে) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোট’ ব্যানারে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ায় আবারও শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে গেল বছর ডিসেম্বর মাসে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে সরকার। তবে নতুন করে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে আবারও একটি চক্র সিন্ডিকেট করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে রিক্রুটিং এজেন্সিদের একটি অংশ। এরই মধ্যে ‘বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোট’ ব্যানারে বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে গোল টেবিল বৈঠকটি আয়োজন করা হয়।

বৈঠকে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সিন্ডিকেট তৈরির জন্য যথেষ্ট চাপ দেওয়া হয়েছে, অবশ্যই হয়েছে। কারণ যারা এর মধ্যে আছে তারা খুব ক্ষমতাবান।’

এসময় জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার দুই পক্ষকেই বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দুই পক্ষকেই বলবো- আপনারা বসেন, বসে একটু বের করুন লুপ হোল কোথায় আছে, মালয়েশিয়ায় নাকি বাংলাদেশে। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এফবিসিসিআই'র সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বায়রার সাবেক সভাপতি নূর আলী, সাবেক সভাপতি আবুল বাসার,  সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব রিয়াজুল ইসলাম, সদ্য বিদায়ী মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী, সেন্টার ফর এনআরবি'র চেয়ারপারসন সেকিল আহমেদ চৌধুরী, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম হেড শরিফুল হাসান প্রমুখ।