যাত্রীরা বলেছেন বিমানবন্দরে সেবার মান ভালো: বিমান প্রতিমন্ত্রী

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। সোমাবার (২৩ মে) পরির্দশন শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, ‘আমরা এখানে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছেন, সেবার মান ভালো। ইমিগ্রেশনে তাদের কোনও সমস্যা হয়নি।’

মাহবুব আলী বলেন,‌ ‘আমরা আজকে এয়ারপোর্টে এসেছি, এখানকার ব্যবস্থাপনা, যাত্রী সেবাসহ সবকিছু ঠিক রাখতে সবাই যথাযথভাবে কাজ করে কিনা দেখতে। আমরা সার্বক্ষণিক এগুলো দেখি। মন্ত্রণালয়ে একটা টিম করেছি। সপ্তাহে তিন দিন মন্ত্রণালয়ের লোকজন এখানে থাকে। কোনও ধরনের অবস্থাপনা হয় কিনা তারা দেখেন। সামনে হজ। আমরা হজের বিষয়ে আলোচনা করেছি। সুন্দরভাবে মনিটরিং করছি।’

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‌‘আমাদের ট্রলি সংকট ছিল, সেটা এখন আর নেই। লাগেজ বেল্টে যেন কোনও সমস্যা না হয়, এ জন্য অনেকগুলো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়েছি। আমরা চাই, বিমানবন্দর সুন্দরভাবে চলুক, এখানে কোনও প্রকার যাত্রী হয়রানি যাতে না হয়। এখন হয়ত আমরা কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারি না, তবে থার্ড টার্মিনাল হয়ে গেলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং, লাগেজ অনেক বেশি আসবে।’

বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘বিমানবন্দরে যার যা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। যারা ডিউটি করে তাদের নির্দিষ্ট সময়ের আধাঘণ্টা আগে এয়ারপোর্টে ঢুকতে হবে। ডিউটি শেষে বের হওয়ার পর বের হতে হবে। যাতে আমরা যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে পারি। বহির্বিশ্বে বিমানবন্দরগুলোতে যেমন সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি।’

বিমানবন্দরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব ব্যবস্থাপনা যে সম্পূর্ণভাবে করতে পারছি, তা বলি না। আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। বিভিন্ন অসুবিধার কারণে আমরা যথাযথ সেবা দিতে পারছি না, এ কারণে কিছু কিছু অব্যবস্থাপনা যাত্রীদের হচ্ছে না, এটা আমরা বলতে পারবো না।’

বিমানবন্দরের ক্যানপিতে লোহার গ্রিল দেওয়া প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, ‘এখানে বেরিকেড উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তবে যখন ট্রলি সংকট হলো তখন আবার ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। অনেক ট্রলি বিমানবন্দরের বাইরে চলে গেছে। ট্রলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এটা আমাদের করতে হয়েছে।’