সিলেট-সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে

উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের চার নদীর ৫ পয়েন্ট পানি আজও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বিপৎসীমার ওপরে ছিল ছয় পয়েন্টর পানি। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বাড়লেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার কয়েকটি স্থানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে। অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কয়েকটি স্থানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

কেন্দ্র জানায়, কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ১৫৬ থেকে কমে গতকাল ১৩২, আজ তা ৯০ এবং শেওলা পয়েন্টে পানি ৫৫ থেকে কমে গতকাল ৪৭ এবং আজ ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে সুরমা নদীর দুই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। এই নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ৮৫ থেকে নেমে গতকাল ছিল ৮৪ এবং আজ তা ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

সিলেট পয়েন্টে পানি আজ বিপৎসীমার নিচে নেমেছ। পুরাতন সুরমা দিরাই পয়েন্টে ৭ থেকে আজ ৬ এবং সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে পানি ২৩ থেকে বেড়ে ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে, ৬৪ মিলিমিটার। এছাড়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৫৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬২, সুনামগঞ্জের লরেরগড়ে ৫০, বান্দরবানের লামায় ৫৪ এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরববাজারে ৩৮ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৫৩ এবং ত্রিপুরার আগরতলায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।