ঢাকায় পৌঁছেছে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ

মহান একুশের অমর সংগীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’— রচয়িতা, বরেণ্য সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। আজ শনিবার (২৮ মে) ১১টা ৫ মিনিটে তার মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকায় এসে পৌঁছায়।

সরকারের পক্ষ থেকে মরদেহটি গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে আসা একই ফ্লাইটে প্রয়াতের স্বজনরাও দেশে ফিরেছেন।

এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন  প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ছবি: নাসিরুল ইসলাম

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ‘হংস বলাকা’ থেকে মরদেহ নামানোর পর জাতীয় পতাকায় ঢেকে দেওয়া হয়। পরে তাতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ উপস্থিতরা।

এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ দুপুর ১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হবে। সেখানে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার পর বেলা ৩টা পর্যন্ত সকলের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজার পর বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আনা হবে বরেণ্য এই সাংবাদিকের মরদেহবাহী কফিন। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করে হবে।

ছবি: নাসিরুল ইসলাম

আবদুল গাফফার চৌধুরী গত ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে ২০ মে (শুক্রবার) পূর্ব লন্ডনের ব্রিক লেন মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা হয়। এরপর পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক শহীদ আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির সদস্যরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। গত ২৩ মে গাফফার চৌধুরীর স্মরণে পূর্ব লন্ডনে এক মিলাদ মাহফিল ও শোকসভা আয়োজন করে বাংলাদেশ হাইকমিশন।