বিক্ষোভ হলে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি আরও কমানোর হুমকি মালয়েশিয়ার

মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঢাকায় বিক্ষোভ হলে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা আরও কমানোর হুমকি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। ঢাকায় সফররত মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বুধবার এমন হুমকি দিয়েছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

মন্ত্রী সারাভানান আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) ঢাকায় একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। এ বৈঠককে সামনে রেখে বাংলাদেশের সীমিত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সারাভানানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে বলে খবরে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রীর বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনি জানিয়েছে, ঢাকায় সারাভানানের বিরুদ্ধে কোনও বিক্ষোভের পরিকল্পনা হয়ে থাকলে তাকে তিনি ভয় পান না। তিনি বলেছেন, ‘আমি ভয় পাই না। তারা (বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি) যতই হুমকি দেবে, ততোই নিষিদ্ধ করবো।’

বাংলাদেশি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক সরবরাহের জন্য উন্মুক্ত বাজারের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করার হুমকি দিয়েছে প্রায় ২ হাজার রিক্রুটিং এজেন্সি।

গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারে দুই দেশের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। যে চুক্তির মেয়াদ রয়েছে আগামী ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। চলতি বছর শুরুর দিকে এম সারাভানান বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানান, বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা হবে না। বাংলাদেশ ২৫টি নির্বাচিত রিক্রুটিং এজেন্সি ও ২৫০টি সাব এজেন্টের মাধ্যমেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবে। তবে মন্ত্রী চিঠির জবাবে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা আইন এবং আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়।

সারাভানান এক বিবৃতিতে বলেছেন, স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে উভয় দেশের দায়িত্বের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে; যার মধ্যে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের পাশাপাশি উভয় দেশের রিক্রুটির এজেন্সিগুলোর দায়িত্বের কথাও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

কাফনের কাপড় পরে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অবস্থানের হুমকি