মিতালী এক্সপ্রেসের অভিজ্ঞতা ‘দারুণ’ বললেন যাত্রীরা

দীর্ঘ ৫৭ বছর পর আবারও চালু হলো নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) থেকে ঢাকার ট্রেন যোগাযোগ। বুধবার (১ জুন) রাত পৌনে ১১টায় ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায় মিতালী এক্সপ্রেস। যাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন স্টেশন ও ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা। যাত্রীরা জানান, সময় একটু বেশি লাগলেও যাত্রা উপভোগ্য ছিল।

নীলফামারীর চিলাহাটি দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্রেনটির চলাচল শুরু হয়। নয়াদিল্লি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটির ভার্চুয়াল ‘ফ্ল্যাগ অফ’ করেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ১২ জন যাত্রী নিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে নীলফামারীর চিলাহাটিতে এসে পৌঁছায়। সেখানে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ২টা ৪৫ মিনিটে। আর রাত পৌনে ১১টায় ঢাকায় এসে পৌঁছায়।

মিতালী এক্সপ্রেসের যাত্রী ডা. শঙ্কর কুমার পোদ্দার বলেন, পথে যানজট সমস্যা কিংবা লাগেজ হ্যান্ডেলিং করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধাই হয়নি। ট্রেনে চেপে বসলাম, একবারে এসে পৌঁছে গেলাম। ৫৭ বছর পর আবার ট্রেন চালু হলো, সেটি আমাদের জন্য সৌভাগ্য। বাই রোডে (বাসে) যাত্রার তুলনায় এটি অনেক আরামদায়ক।

মিতালী এক্সপ্রেসের যাত্রী গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের ভ্রাতৃত্ববোধের নিদর্শন হচ্ছে এই মিতালী এক্সপ্রেস। আমরা ভারত থেকে ট্রেনে উঠে সরাসরি এখানে এসেছি।’

প্রথমদিনে যাত্রীসংখ্যা অনেক কম হওয়া প্রসঙ্গ টেনে এই যাত্রী বলেন, আমরা দাবি রেখেছিলাম, চিলাহাটি এবং হলদিবাড়িতে স্টপেজ রাখার। চিলাহাটি ও হলদিবাড়িতে আরও অনেক যাত্রী রয়েছেন। এটা দুই দেশের সরকারের ব্যাপার। আমাদের কাছে এই জার্নি খুব ভালো লেগেছে। শুধু মাঝে একটু ডিলে করেছে; এই। তাছাড়া যাত্রার অভিজ্ঞতা দারুণ।

আরও পড়ুন:

৫৭ বছর পর ঢাকায় মিতালী এক্সপ্রেস