সীতাকুণ্ডে অগ্নিদুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মী নিহত

সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও  সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

রবিবার (৫ জুন) সকালে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি একটি কনটেইনার ডিপোতে বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। আজ সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে।

এদের মধ্যে আগুন নেভাতে যাওয়া পাঁচ ফায়ার সার্ভিস কর্মীও রয়েছে বলে জানালো সংস্থাটি। এর মধ্যে মনিরুজ্জামান নামের একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন কর্মী আহত হয়ে সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরও ২ জন কর্মীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। 

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে বলা হয়েছে, শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত ৯টা ২৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের এ সংবাদ পায় তারা। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম ও আশপাশের সকল ফায়ার স্টেশন দুর্ঘটনায় অংশগ্রহণ করে। দুর্ঘটনার একপর্যায়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে ফার্স্টলাইনে কাজ করা কর্মীরা গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে পাঁচ জন কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। 

এখন পর্যন্ত ২৫টি ইউনিট দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছে। চট্টগ্রাম ছাড়াও কুমিল্লা, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন আশপাশ এলাকা থেকে ফায়ার ইউনটি ঘটনাস্থলে নিয়োজিত করা হয়েছে।

সবশেষ সিতাকুন্ডের অগ্নিকাণ্ডে কাজ করতে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ২০ জনের বিশেষ হ্যাজমট টিম চট্টগ্রামে যাচ্ছে। হ্যাজম্যাট (হ্যাজারডাস মেটারিয়াল) টিমেন এসব সদস্য দেশে-বিদেশে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত।