সুন্দরবন রক্ষায় ভারতের সঙ্গে যৌথ কমিশন করা যেতে পারে: পরিকল্পনামন্ত্রী

ভারতের সঙ্গে যৌথ নদী সুরক্ষা কমিশনের মতো সুন্দরবন রক্ষায় যৌথ বন সুরক্ষা কমিশন করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘আমাদের অংশে সুন্দরবন রয়েছে ৬০ শতাংশ এবং ভারতের রয়েছে ৪০ শতাংশ। কিন্তু বনের পশুপাখিরা অবাধে পুরো বন ঘুরে বেড়ায়। তাই ভারতের সঙ্গে সুন্দরবন রক্ষায় যৌথ উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

রবিবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের উন্নয়নে প্রয়োজন জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘ফেইথ ইন অ্যাকশন' এবং নাগরিক সংগঠন 'সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন' সেমিনারটির আয়োজন করে।

দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের উন্নয়নে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় উপকূলের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চায় তিনি। এ কারণে টেকসই বেড়ি বাঁধ নির্মাণ, শেল্টার বাড়ানো, পানি সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।’ উপকূলের উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানো হবে বলে জানান মন্ত্রী। 

তিনি আরও  বলেন, ‘পদ্মা সেতু সরকারের সাহসী ও সফল পরিকল্পনা। এটা নিয়ে বিরোধ করার কারণ কী? আমি যদি বলি সেতুর নামকরণ প্রধানমন্ত্রীর হক। এই পদ্মা সেতুর জন্য তিনি জান্নাতে যাবেন।’

সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১৫ জুন থেকে জনশুমারি শুরু হবে। এবার হাতে কলমে নয়, ট্যাবে তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং এই  ডাটা কাউকে দেওয়া হবে না।’

সেমিনারে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।