‘ডিপোতে রাসায়নিকে তথ্য অস্পষ্ট রাখা দায়িত্বে গাফিলতি’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক রাখার তথ্য অস্পষ্ট রেখে ‘দায়িত্বে গাফিলতির পরিচয় দেওয়া হয়েছে’ উল্লেখ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, ‘রাসায়নিকের তথ্য জানানো হলে ফায়ার সার্ভিস সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করতো, তাতে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যেতে পারতো। এ ক্ষেত্র দায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।’ ডিপোতে অগ্নিদুর্ঘটনায় 'যারা গাফিলতি করেছেন, তারাই এ ঘটনায় জড়িত' বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ জুন) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের মতো ভয়াবহ ও মানবিক বিপর্যয়ের ঘটনা ভবিষ্যতে আর যাতে না ঘটে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে এবং সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। উপযুক্ত জনবল, এক্সপার্টাইজ না থাকলে আনতে হবে।’

হতাহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তিনি। বলেন, ‘আগামীতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে এখনই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।’

সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দিয়ে নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমরা যেন দায়িত্বে অবহেলা না করি। এটা আমার না, ওর; ওর না ওর— এভাবে দায় চাপানোর চেষ্টা না করি। নাশকতার কথাও শোনা যাচ্ছে, যা-ই হোক; তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটন করা হোক।’

বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া আহত রোগীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক রোগীর চোখের সমস্যা। চোখ লাল হয়ে আছে, কষ্ট হচ্ছে তাদের। তবে চিকিৎসার কোনও ঘাটতি নেই, রোগীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’