বাজেট নিয়ে বিজিএমইএ’র প্রতিক্রিয়া

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বাজেট প্রতিক্রিয়ায় পোশাকশিল্পে উৎসে কর আগের মতোই রাখার দাবি জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবির কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা মনে করি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে পোশাক শিল্পে উৎসে কর এখন যে অবস্থায় রয়েছে, সে অবস্থায়  আমাদের  অনুরোধ, রফতানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ০.৫০% আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখলে শিল্পটি বর্তমান সংকটকালীন সময়ে স্বস্তিতে থাকবে। শিল্প টিকে থাকলে রাজস্ব আসবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। গত অর্থবছরে আমাদের পোশাক রফতানি আয় ছিল ৩১.৪৫ বিলিয়ন ডলার, এ বছর আমরা ৪১ বিলিয়ন ডলার আশা করছি। এভাবে যদি আমরা রফতানি বাড়াতে পারি, তাহলে কর হার না বাড়িয়েও রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব। এতে করে সামষ্টিক অর্থনীতি উপকৃত হবে।

প্রস্তাবিত  বাজেটে যা আছে

বাজেটে মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক কল্যাণ ও নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এবছর থেকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যেটি আমাদের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। করপোরেট কর হার কমিয়ে আনা হয়েছে, যা শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের করের হার কমিয়ে আরও  কর্মসংস্থান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

টেক্সটাইল বা বস্ত্র খাতের করপোরেট কর হার ১৫ শতাংশ আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

ম্যান মেড ফাইবার ও অন্যান্য কৃত্রিম আঁশের তৈরি সুতার ওপর ভ্যাটের পরিমাণ ৬ টাকা থেকে কমিয়ে ৩ টাকা প্রতি কেজি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পলিপ্রপাইলিন স্ট্যাম্পল ফাইবার উৎপাদনের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি ও এর প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানির ওপর আগাম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।