ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন ওয়েলকাম বাসের চালক জাকির

রাজধানীর বাংলামোটরে পুলিশ কনস্টেবল কোরবান আলীকে চাপা দেওয়া ওয়েলকাম পরিবহনের বাসের চালক মো. জাকির হোসেন (৪০) ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এমনটা বলেছে র‌্যাব। সংস্থাটি বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বাসটির হেলপার একসময় ভারতে থাকতেন। তার সহায়তায় চালক জাকিরও সেখানে পালাতে চেয়েছিলেন।

ঘটনার চার দিন পর শুক্রবার (১০ জুন) ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। বাসটির মালিক মোহাম্মদ আলম ওরফে খোকাকেও (৩৯) ঢাকার সাভার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর কাওরান বাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, চাপা দেওয়া বাসটির হেলপারকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। 

বাসটির কোনও রুট পারমিট ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দৈনিক আড়াই হাজার টাকার চুক্তিতে ২০ দিন আগে গাড়িটি চালানো শুরু করেন জাকির। চুক্তির টাকা ও নিজেদের খরচ ওঠাতেই  যাত্রী নিতে বেপরোয়া ছিল বাসটি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত চালক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি ২০০৫ সালে ঢাকায় আসেন। ছিলেন টেম্পুর হেলপার। ২০১০ সালে চালানো শুরু করেন লেগুনা। ২০১৮ সালে ওয়েলকাম পরিবহনের বাস চালানো শুরু করে। ২০১৯ সালে পান ড্রাইভিং লাইসেন্স।

চালক মাদকাসক্ত কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে তার পরীক্ষা করানো হবে বলেও জানায় র‌্যাব।

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ‘সোমবার (৬ জুন) বাংলামোটরে যাত্রী নিতে দ্রুত গাড়িটি চালানো হচ্ছিল। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ কনস্টেবল কোরবান আলীকে চাপা দেয় বাসটি। এরপরই পালিয়ে যান চালক। সেখান থেকে তিনি একটি চায়ের দোকানে গিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। পরে আত্মগোপনে যান। রাতেই আবার চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে চলে যান। সেখানে এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তাকে গ্রেফতার করা হয় সেখানেই।

নিহত পুলিশ কনস্টেবল কোরবান আলী রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের টেলিকম বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাভার থেকে প্রতিদিন মোটরসাইকেলে করে অফিসে আসা-যাওয়া করতেন। পরিবার নিয়ে সাভারেই থাকতেন তিনি।