ছাত্রী-শিক্ষিকাকে হয়রানি: চার বখাটে গ্রেফতার

শ্রেণিকক্ষে ছাত্রী ও কয়েকজন শিক্ষিকাকে হয়রানি করায় চার বখাটেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এই তথ্য জানান।

বখাটেদের রাজধানীর গুলিস্তান ও কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, সৌরভ মিয়া ওরফে বাবু (১৭), সোহান ওরফে হিরা (১৭), সীমান্ত (১৭) এবং প্রধান আসামি ও মূলহোতা আল আমিন ওরফে সোহেল ওরফে প্রিন্স রানাকে (২২) গ্রেফতার করে।

গত ১২ জুন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার জঙ্গলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক নির্বাচনি ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলার সময় বহিরাগত কিছু বখাটে বিদ্যালয়ের দোতলায় উঠে ছবি তোলার চেষ্টা করে। এসময়, স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকা তাদের চলে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেরা তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

ওই দিন বিকালে স্কুল শেষে ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকা অটোরিকশা করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তালিয়াপাড়া এলাকায় বখাটেরা তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে। এসময় তারা শিক্ষিকাদের শ্লীলতাহানী ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

ঘটনার পর ওই বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন।

ঘটনার পর র‌্যাব-১৪ ছায়াতদন্ত শুরু করে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে কিশোরগঞ্জ ও রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়। 

র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত সোহেল এলাকায় উঠতি বয়সীদের নিয়ে সংঘবদ্ধ চক্র বানিয়েছে। সে তার এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের বেশ কিছু দিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। চক্রের অন্য সদস্যরাও স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ছাত্রীদের উত্যক্ত করতো এবং এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াতো।

কোনও ছাত্রী প্রতিবাদ করলে তাকে এসিড নিক্ষেপের হুমকিও দিতো সোহেল ও তার চক্রের সদস্যরা। স্থানীয়রা কেউ বাধা দিলে সোহেলের নেতৃত্বে দেখানো হতো ভয়ভীতি। প্রতিবাদকারীকে করা হতো হয়রানি।

আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।