ডিএনসিসির করোনা হাসপাতালে যুক্ত হচ্ছে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার

রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালটিতে একটি ৫০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। এরই মধ্যে এতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সম্মতিও দিয়েছে ডিএনসিসি। 

উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধনকৃত সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসকারি সংস্থার অঙ্গসংগঠন ‘সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনে, বাংলাদেশ’। বাংলাদেশে মূলত স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করে সংগঠনটি। তাদের দাবি, সারাদেশে এরইমধ্যে ২০টি ও ঢাকায় দুটি কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করেছে তারা।

ফাউন্ডেশনের এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তারা আগামী সপ্তাহে উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে।

ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন। এছাড়া কাউন্সিলরদের অনুমোদনের জন্য দ্বিতীয় পরিষদের ১১তম বোর্ড সভায় উপস্থাপন করে সর্ব সম্মতিক্রমে তা পাস করিয়েও নেওয়া হয়েছে।

সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন-বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ আহসান হাবীব বলেন, সাধারণ মানুষকে স্বল্পমূল্যে এবং অতি দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা দিতে সেন্টারটি স্থাপন করতে যাচ্ছি আমরা।

তিনি বলেন, 'সেন্টারটি স্থাপনে ৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে, যা আমরাই দেবো। এ অর্থ আমরা অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করেছি। এখানে সিটি করপোরেশন শুধু জায়গা দিবে। আমাদের হাসপাতালের একটি ফ্লোরের চার ভাগের একভাগ দিলেই আমরা কাজটি করতে পারবো। পরিচালন ব্যয়ও আমরাই বহন করবো।’

সেন্টারটির নাম কী হবে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে ‘ডিএসসিসি-সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন ডায়ালাইসিস সেন্টার’ নাম হতে পারে বলে ধারণা দেন তিনি।

তিনি আরও জানান, সেন্টারটি স্থাপনের টাকা তারা যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধুদের চাঁদার মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন।

হাবীব আরও বলেন, ‘সেন্টারটি ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা একটি কমিটি করবো। যেখানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন কমিটির চেয়ারম্যান।’

এ বিষয়ে উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘স্বল্প আয়ের মানুষকে কমমূল্যে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা প্রদানের কথা চিন্তা করে আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে অনুমোদন দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এ কোভিড হাসপাতালটিকে নিয়ে বড় পরিকল্পনা রয়েছে। এ সেন্টারটি যদি সেই পরিকল্পনায় অন্তরায় হয়, সেক্ষেত্রে আমরা এ সেন্টারটিকে তিন মাসের নোটিশে উচ্ছেদ করতে পারবো। আশা করি, সে পরিকল্পনায় এটাকে সংস্থান করা যাবে।’

উল্লেখ্য, মহাখালীর ১ হাজার ৫৪ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালটির জায়গা নির্ধারিত ছিল কাঁচাবাজার তৈরির জন্য। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে করোনা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করলে এটিকে কোভিড ডেডিকেটেট হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়।