বিমানের ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতা’ বন্ধের দাবি

দেশি এয়ারলাইনগুলোর টিকে থাকার স্বার্থে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)। এ সময় তারা বিমানের ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতা’ বন্ধের দাবি জানায়।

রবিবার (১৯ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে লিখিত স্মারকলিপি দেন তারা।

বৈঠক শেষে এওএবি’র মহাসচিব ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার বেসরকারি  বাণিজ্যবান্ধব। বর্তমান সরকারের হাত ধরেই এ দেশে বেসরকারি এয়ারলাইনের যাত্রা শুরু। কিন্তু রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ রুটে যা খরচ, তার চেয়ে কম ভাড়ায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তারা ভর্তুকি দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। কিন্তু বেসরকারি এয়ারলাইনগুলোর পক্ষে তা সম্ভব না। আমি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার কাছে ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতা’ বন্ধের দাবি জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ রাখবেন বলে আশা করছি।’’

এদিকে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধের দাবিতে লিখিত আবেদনে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বলছে, সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নিয়ে চলা রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটে ফ্লাইটের টিকিটের দাম কমিয়েছে। টিকিটের দাম কমিয়ে বিমান অসুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসার ক্ষেত্রকে নষ্ট করছে। নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে ইতোমধ্যে জিএমজি এয়ারলাইন্স, রিজেন্ট ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। মোটা দাগে এয়ারলাইন্সগুলো বন্ধের কারণ হিসেবে জেট ফুয়েলের মূল্যবৃদ্ধি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাজের চার্জগুলোকেই দায়ী করা হয়। বর্তমানে বিমান বিভিন্ন রুটের টিকিটের দাম কমিয়ে রাষ্ট্রীয় টাকায় ভর্তুকি দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিমানের এ অপকৌশল বাংলাদেশে বেসরকারি এয়ারলাইন্সকে দাঁড়াতে দেয়নি। দেশে মোট আটটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও বিমানের কারণে তারা অপারেশন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। বিমানের অপকৌশলের কারণে বর্তমানে নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কোনোমতে টিকে আছে। বিমান অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটের প্রতি সিটে ২ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দিচ্ছে।