২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ

আসন্ন ঈদুল আজহায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির স্থান পরিষ্কার করতে সব সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে সারা দেশে পশুর হাট বসবে বলেও জানান মন্ত্রী।

রবিবার (২৬ জুন) ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনে আয়োজিত পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি বাস্তবায়ন এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে যান চলাচল বিঘ্ন হতে পারে সেখানে পশুর হাট বসানো যাবে না। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবেন। সিটি করপোরেশনের মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন।’

মো. তাজুল ইসলাম জানান, বছরের শুরুতে করোনা সংক্রমনের হার কম থাকলেও কয়েকদিন ধরে সংক্রম বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পশুর হাট বসাতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘হাট বসানোর পাশাপাশি এ বছরও অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’ দ্রুততম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

গত বছরের মতো পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি, দ্রুততম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকরা অনলাইনে অংশ নেন।