মশা মারতে ট্র্যাপ মেশিন কিনেছে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতি

মশা মারতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগের শেষ নেই। কিন্তু কোনও উদ্যোগই নগরবাসীকে মশার যন্ত্রণা থেকে স্বস্তি দিতে পারেনি। তাই এবার সিটি করপোরেশনের ওপর ভরসা না করে নিজেরাই মশক নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতি।

কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ৬ নম্বর রোডের মাঠ ও পার্কের অভ্যন্তরে ছয়টি মশা ধরার ফাঁদ বসানো হয়েছে। এ ফাঁদগুলো কৃত্রিমভাবে মানুষের গায়ের গন্ধ সৃষ্টি করে এবং পরিবেশে নাইট্রোজেন ছড়িয়ে মশাকে আকৃষ্ট করে। গিগা পাওয়ার করপোরেশনের সহায়তায় এ ফাঁদ বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কল্যাণ সমিতির নেতারা।

গিগা পাওয়ার করপোরেশনের প্রতিনিধি গাজী মো. সেলিম বলেন, ‘কুইস্তা নামক মশা ধরার ফাঁদটি চারিদিকে ৮০ মিটার এলাকা পর্যন্ত কাজ করে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে গত পরশু আমরা ফাঁদগুলো বসিয়েছি। একটি ফাঁদে ৪০-৪৫টি মশা ধরা পড়েছে।’

তিনি জানিয়েছেন, ফাঁদগুলো ফ্রান্স থেকে আনা হয়েছে এবং প্রতিটির দাম পড়েছে আট লাখ। এগুলো বিদ্যুতে চলে এবং এতে কোনও শব্দ হয় না।

তিনি আরও বলেন, ‘মেশিনটি একাধারে এডিস এবং কিউলেক্স মশা ধরতে পারে। ফাঁদে কোনও প্রজাতির কতটি মশা ধরা পড়লো তা অ্যাপের মাধ্যমে জানা যায় এবং মেশিনটি চালু ও বন্ধ করা যায়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কল্যাণ সমিতি মাঠ ও পার্কে ছয়টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।’

উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা নিজেদের উদ্যোগ ও অর্থায়নে মশা ধরার ফাঁদগুলো বসিয়েছি। কারণ সকালে বা বিকালে পার্ক ও মাঠে বসা যায় না। ওষুধ ছিটানোর পরও মশা থেকে রেহাই পাওয়া যায় না।’

এ ফাঁদ মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর হলে সিটি করপোরেশনের অর্থে ব্যবস্থাটি উত্তরা এলাকায় পেতে চান বলে জানান আনিসুর রহমান।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ফাঁদগুলো যদি সফলভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাহলে আমরা ফগিং বাদ দিয়ে এ প্রক্রিয়াটি গ্রহণ করবো। যে টাকা বর্তমানে মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়, তা এ প্রযুক্তির জন্য ব্যবহার হবে।’