বিচারহীনতার ধারাবাহিকতাই লাঞ্ছনা ও হত্যাকাণ্ডে সাহস জুগিয়েছে: সমাবেশে শিক্ষকরা

সারাদেশে শিক্ষক নির্যাতন এবং সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষার্থী কর্তৃক পিটিয়ে শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষক সমাজ। তারা বলেছেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারহীনতার সংস্কৃতির ধারাবাহিকতাই এই হত্যাকাণ্ডে সাহস জুগিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখতে পাওয়া যায়— এসব ঘটনার সাথে কোনও না কোনোভাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অথবা সদস্যরা জড়িত।

শুক্রবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশ থেকে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

সমাবেশে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বাবুল বলেন, 'শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষককে মারার সাহস আসে কিভাবে সেই দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষকের মৃত্যু এই প্রথম প্রত্যক্ষ করলাম। শিক্ষক সমাজ আজ আতংকিত, ভীত-সন্ত্রস্ত, হতবাক। আমরা মনে করি— সারাদেশে শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারহীনতার সংস্কৃতির ধারাবাহিকতাই এই হত্যাকাণ্ডের সাহস জুগিয়েছে।'

সহসভাপতি মো. শফি উদ্দিন বলেন,  'আমরা বিভিন্ন জেলায় ঘটে যাওয়া শিক্ষক নির্যাতন পর্যালোচনা করে দেখতে পাই— এ ঘটনার সাথে কোনও না কোনোভাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অথবা সদস্যরা জড়িত। কমিটির এই নির্যাতন থেকে শিক্ষা প্রশাসন বিদ্যমান আইন দ্বারা আমাদের সুরক্ষা দিতে পারছে না। তাই আমরা শিক্ষক সুরক্ষা আইন চাই।'

প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের সকলেরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ। আমাদেরকে আরও সহনশীল আচরণ করতে হবে। নড়াইলে যে ঘটনা ঘটেছে তার আমরা কি ব্যাখ্যা দিব, সেখানে অধ্যক্ষ্যের কি দোষ ছিল। বিনা অপরাধে বা অন্যের অপরাধের কারণে আবেগতাড়িত হয়ে কাউকে শাস্তি দিতে পারি না।

সমাবেশ থেকে অন্যান্য নেতারা নড়াইলসহ সারাদেশে শিক্ষক নির্যাতন বন্ধ করার জোর দাবি জানান।