বাসের অগ্রিম টিকিটে সাড়া নেই সায়েদাবাদে

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাস মালিকরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন গত ২৪ জুন। কিন্তু এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের তেমন সাড়া মিলছে না বলে দাবি বাস শ্রমিক ও মালিকদের। তারা জানিয়েছেন, প্রতিবছর ঈদের এই মুহূর্তে ব্যস্ততায় দিন কাটে তাদের। এবার যাত্রীদের অগ্রিম টিকিটে তেমন আগ্রহ নেই।

রবিবার রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরেও বাস যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়নি। বাসের শ্রমিকদের তেমন ব্যস্ততাও চোখে পড়েনি ।

দুপুরে কথা হয় সায়েদাবাদের হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার ম্যানেজার  মোতালেবের সঙ্গে। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরে এ সময় কথা বলার সময় থাকে না। আর এখন একদম বিক্রি নেই। মাঝে মধ্যে ৭ তারিখের  টিকিটের জন্য কেউ আসে। এছাড়া আর কোনও চাহিদা নেই। ঢাকা থেকে বরিশাল ও কুয়াকাটার একটা চাহিদা থাকে। তাও পাচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, মানুষ রানিং গাড়িতে আসে রানিংয়ে যায়। অনলাইনে সহজে আমাদের টিকিট বিক্রি হয়, সেখানেও চাহিদা কম। যাত্রী নেই, অগ্রিম টিকিট কার কাছে বিক্রি করবো। আমাদের পদ্মা সেতুর রুট পারমিট আছে, তাও যাত্রী পাচ্ছি না।

শ্যামলী এন. আর পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার রেদোয়ান জানালেন একই কথা। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম , ঢাকা-সিলেট , ঢাকা–বরিশাল সব রুটে বাস আছে কিন্তু যাত্রী কম। অগ্রিম টিকিটের চাহিদাও কম।

গোল্ডেন লাইনের কাউন্টার ম্যানেজার মো. শহীদ জানান, অগ্রিম টিকিট  নেওয়ার কেউ নেই। সব রানিং যাত্রী।

তবে ইউনিক পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মিঠুন জানান ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বাস পরিচালনা করি। আমাদের সব অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ।

সায়েদাবাদ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, আমরা যাত্রীই তো পাচ্ছি না, অগ্রিম টিকিট দিবো কাকে? আমার ৩৮ বছরের পরিবহন ব্যবসার জীবনে এরকম অবস্থা দেখি নাই।

যাত্রী কমে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, আমার ধারণা করোনার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না। হয়তো মানুষ এবার কম বাড়ি যাচ্ছে। অনেকে পরিবার হয়তো রেখে আসছে, নিজেরা যাচ্ছে না। তিনি জানান, কল্যাণপুর ও গাবতলীতেও একই অবস্থা।