‘এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড’

জাতীয় প্রেসক্লাবে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যাকারী গাজী আনিসের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা। তারা বলছেন, হেনোলাক্সের মালিক নুরুল আমিন তার ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করায় তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ ‘হত্যাকাণ্ডের’ বিচার দাবি করেছেন আনিসের স্বজনেরা। এ সময় তার মামাতো ভাই তানভীর ইমাম এবং ভাতিজা শাহবুব আলম বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া তার আরও কয়েকজন স্বজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে তানভীর ইমাম বলেন, ‘আমার ভাই কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তিনি হেনোলাক্স কোম্পানির কাছ থেকে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ফেরত না পাওয়ায় নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন।’

গাজী আনিসতিনি বলেন, ‘টাকা পেতে আমার ভাই কুষ্টিয়া আমলি আদালতে নুরুল আমিন ও তার স্ত্রীকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেন, যা বিচারাধীন রয়েছে। গত ৩১ মে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন, কিন্তু কোনও ফল না পেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তাই গাজী আনিসের মৃত্যুর জন্য হেনোলাক্স কোম্পানির নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী দায়ী। অবিলম্বে নুরুল আমিন ও তার স্ত্রীর ফাঁসি দাবি করছি।’

গাজী আনিসের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান আনিসের স্বজন শাহবুব আলম। এদিকে আজ দুপুরে গাজী আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক নুরুল আমিন এবং তা স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গাজী আনিস। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে মারা যান তিনি।