‘বিজিবি সদস্যরা মহৎ কাজে অবদান রাখবে’

শুধু বৃক্ষরোপণ ও মৎস্য চাষই নয়, দেশের সব মহৎ কাজে বিজিবির প্রতিটি সদস্য অবদান রাখবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিজিবির বৃক্ষরোপণ ও মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি-২০২২-এর উদ্ধোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

‘বঙ্গবন্ধুর পথে হাঁটি, বৃক্ষ ছায়ায় বাংলার মাটি’ এবং ‘মাছ চাষে গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বিজিবির ‘বৃক্ষরোপণ ও মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি-২০২২’ উদ্ধোধন করেন। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বিজিবি সদর দফতর, পিলখানার বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পূর্ব পাশে মাঠে একটি বট গাছের চারা রোপণ করেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘বৃক্ষ আমাদের ছায়া দেয়, পাখিদের আশ্রয় দেয়, মাটি ধরে রাখে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবর্ধন করে এবং প্রকৃতিতে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, সুস্থ জীবন ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বায়ু ও অন্যান্য পরিবেশ দূষণরোধ এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে আমাদের বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন।’

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ– ‘দেশের ১ ইঞ্চি জায়গাও যেন পতিত না থাকে’। সেই নির্দেশ প্রতিপালনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবির সদর দফতরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপির প্রতিটি খালি জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ, ভেষজ, ঔষধি ও অন্যান্য গাছের চারা রোপণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এ কর্মসূচি সফল করার জন্য বিজিবির সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২২-এর আওতায় বিজিবি দফতরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপি পর্যায় সর্বমোট এক লাখ বৃক্ষরোপণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এরপর বিজিবি মহাপরিচালক পিলখানার সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশে পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘মাছ আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। বাংলাদেশ নদ-নদী খাল-বিল ও পুকুর-জলাশয়ের দেশ। এসব পুকুর-জলাশয় ফেলে না রেখে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মাছ চাষ করলে তা জাতীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করেও বিদেশে রফতনি করা সম্ভব।’ তাই সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপির পুকুর-জলাশয় সংস্কার করে বিজিবি সদস্যদের মাছ চাষে আহ্বান জানান তিনি।