‘মাস্ক পরলে গরুর দাম বোঝে না’

বগুড়া গরু ব্যবসায়ী খতের আলী ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগর অস্থায়ী হাটে। করোনা সংক্রমণের এ সময়ে তিনি মুখের মাস্ক পরে আছেন গলায়। মাস্ক মুখ না পরে গলায় কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুখে মাস্ক পরলে কাস্টমার কথা শুনতে পায় না। গরুর দাম বোঝে না। তাছাড়া রোদের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসে।’

খতের আলীর মতো একই যুক্তি এ হাটের অনেকে ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীর।

হঠাৎ দেশে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালনের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে।

মুখে মাস্ক লাগানো, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ভিড় এড়িয়ে চলার বিষয়গুলো ক্রেতা, বিক্রেতা ও পরিদর্শনকারী কেউই মানছেন না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আফতাবনগর, বারিধারা, মেরাদিয়া এবং গতকাল উত্তরার বৃন্দাবন ও মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার পশুরহাট ঘুরে দেখা যায়, এসব হাটে বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতা মুখে মাস্ক পরছেন না।

তবে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, শক্তি ফাউন্ডেশন ও বিডি ক্লিনের স্বেচ্ছাসেবকদের হাটে দেখা গেছে মাস্ক বিতরণ করতে।

শক্তি ফাউন্ডেশনের এজিএম ফাইন্যান্স ফয়েজ উদ্দিন জানান, তারা দুপুর ১২টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উত্তর সিটি সিটি করপোরেশন কর্তৃক সরবরাহকৃত  ১২ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশনের সবগুলো হাটে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মাস্ক বিতরণ করছি। আমাদের টার্গেট প্রতি হাটে ১২ হাজার করে মাস্ক বিতরণ। এছাড়া মাস্ক নেওয়ার পরে আমরা হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে দিচ্ছি। গতকাল বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ প্রগ্রাম আগামীকাল শনিবার শেষ করবো।’

ফয়েজ উদ্দিন জানান, স্বেচ্ছায় অনেকেই মাস্ক নিচ্ছেন এবং অনেকের মধ্যে মাস্ক পরার আগ্রহ আছে।