দূরপাল্লার গণপরিবহনে হঠাৎ যাত্রী সংকট

কোরবানির ঈদের আগের রাতে দূরপাল্লার গণপরিবহনে হঠাৎ করেই যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। শনিবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন রুটের ঘরমুখো যাত্রী কমতে থাকলেও রাত ১০টার পর একেবারেই কমে গেছে। ফলে টিকিট কাউন্টারগুলোতে দায়িত্বরতরা রীতিমতো অলস সময় পার করছেন।

গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি টিকিট কাউন্টারে একাধিক বিক্রয়কর্মী বসে আছেন, নিজেদের মধ্যে গাল-গল্প করছেন। টার্মিনালে খুব অল্প সংখ্যক যাত্রী রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই শ্রমজীবী মানুষ।

বিভিন্ন কোম্পানির কাউন্টারের অন্তত ছয়জন তত্ত্বাবধায়ক জানান, প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগের রাতে যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রচুর টিকিট বিক্রি হতো এই রাতেও। কিন্তু এবার অধিকাংশ কাউন্টার ফাঁকা পড়ে আছে। যাত্রীর চাপ তো দূরের কথা অনেক গাড়ির অর্ধেক আসন ফাঁকা যাচ্ছে।

টিকিট বিক্রিকারী আফজল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, টিকিট অবিক্রিত থাকছে বেশ কিছু, যাত্রী মিলছে না। এমতাবস্থায় টিকিট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। গাবতলী বাস টার্মিনালের এমন চিত্র সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি।

এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা কমানোর কথা বলে এবার মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত রোজার ঈদেও এই বাহনে করে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। এ বছর সেই সুযোগ আটকে যাওয়ায় ঈদরাতে যাত্রী বৃদ্ধির আশা করছিল গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

কেন এই সময়ে এমন যাত্রী সংকট হলো, জানতে চাইলে একজন পরিবহন মালিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মোটরসাইকেল বন্ধ হওয়ায় তাদের যাত্রী সংখ্যা এবার বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু ঢাকার লোকাল পরিবহনগুলো যাত্রীদের একটি অংশ নিয়ে বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে গেছে। গতকাল যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় আজ লোকাল গাড়িতে ঢাকা ছাড়েন অনেকে। পুলিশও তাদের যেতে দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ দিকের প্রবেশদ্বারে দায়িত্ব পালন করা দুইজন ট্রাফিক সার্জন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, লোকাল গাড়ি শহরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। কিছু বাস ফাঁক-ফোকড় দিয়ে হয়তো বেড়িয়ে গেছে।