ঈদের দ্বিতীয় দিনও যাত্রীর চাপ গাবতলীতে

পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনও যাত্রীর চাপ দেখা গেছে রাজধানীর গাবতলী এলাকায়। সকাল থেকে চাপ বেশি থাকলেও দুপুরের পর কমে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব যাত্রীর বেশিরভাগই শ্রমিক, দিনমজুর এবং মৌসুমি কসাই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের গন্তব্য বলে জানা যায়।

সোমবার (১১ ‍জুলাই) সকাল থেকে গাবতলী বাস টার্মিনাল এবং এর আশেপাশের বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা যায়, অপেক্ষমাণ অসংখ্য যাত্রী। কেউ কেউ বাস কাউন্টারের ভেতরে অবস্থান করলেও জায়গা সংকুলন না হওয়ায় অনেকে কাউন্টারের বাইরা অপেক্ষা করছেন।

নওগাঁ থেকে কসাইয়ের কাজ করতে ঢাকায় আসা রফিক জানান, গত ১৭ বছর ধরেই কোরবানির ঈদে ঢাকায় আসছেন তিনি। তার সঙ্গে এসেছেন অন্তত সাত-আট জন। তারা ঈদের দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কসাইয়ের কাজ করেন।

তিনি বলেন, ‘নওগাঁ থেকে ঢাকায় এসে কাজ করা আনন্দের। এই ঈদে পাঁচটা গরুর কাজ পেয়েছি। ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও হাজারীবাগ এলাকায় কাজগুলো ছিল। আমরা চুক্তিতে কাজ করি, তাই কোথাও ৫ হাজার আবার কোথাও ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়েছে। কাজ শেষে বাড়ি যাচ্ছি।

রফিকের সঙ্গে আসা অন্যান্যরা জানান, ঈদের দিন কাজ করতে তারা ঢাকায় আসেন। এরপর দেশে গিয়ে কৃষি কাজ করেন সারা বছর। নওগাঁ ফিরে আমের পরিচর্যা করবেন।

পাবনাগামী যাত্রী ইশানা বলেন, ‘ঈদে টিকিট না পাওয়ায় যাওয়া হয়নি। তাছাড়া অনেক ভিড় ছিল এবং হাইওয়েতে জ্যামের কথা চিন্তা করে ঈদের আগে বাড়ি যাইনি।’

শ্যামলী পরিবহনের উত্তরবঙ্গের কাউন্টার ম্যানেজার মো. মামুন বলেন, ‘আজ আমাদের কোনও গাড়ির সিট খালি নেই। সকাল থেকে যাত্রীর চাপ ছিল প্রচুর। বেশিরভাগই উত্তরবঙ্গের। তাছাড়া আমাদের অনেক গাড়ি এখনও ঢাকায় এসে পৌঁছাতে পারেনি।’