রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ

কোরবানির ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষেরা। দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচল করা দূরপাল্লার গণপরিবহনে গতকাল রাত থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চাপ লক্ষ করা গেছে। আজ মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকায় ফেরা লোকজনের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। রেল ও নৌপথেও অনেকে ঢাকায় ফিরছেন।

গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গুলিস্তানের বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মজীবীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় আসছেন। বিশেষ করে যাদের ছুটি হয়েছে, তারা কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরছেন। এ নিয়ে কেউ কেউ আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে তিন দিনের জন্য বাড়িতে গিয়ে কষ্ট আরও বাড়ে।

গাবতলীর বাস টার্মিনালের হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের তত্ত্বাবধায়ক মো. রনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গতকাল রাত থেকে তাদের ঢাকায় ফেরা গাড়িগুলো যাত্রীতে পূর্ণ ছিল। সকাল থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। একই ধরনের তথ্য জানিয়েছেন শ্যামলী পরিবহনের সমীরণ রায়।

সায়েদাবাদে সুগন্ধা পরিবহনে টিকিট বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, দক্ষিণ বঙ্গের যাত্রী পরিবহন করছেন তারা। সকালে ঢাকায় আসা যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে।

রাজধানীতে ফিরছে মানুষসোহাগ পরিবহনের আবু হেনা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে আসা তাদের পরিবহনগুলো পূর্ণ যাত্রী নিয়ে এসেছে।

মহাখালীর বাস টার্মিনালে থাকা এনা পরিবহনের কাউন্টারের তত্ত্বাবধায়ক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে তাদের ছেড়ে আসা গাড়িগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে চাকরিজীবী যাত্রীদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি মনে হয়েছে।

বগুড়া থেকে ঢাকায় আসা ব্যাংকার আব্দুর রহমান জানান, ছুটি শেষ হওয়ায় ঈদের পরদিনই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে এখন শুরু হবে কর্মব্যস্ততা। এইতো জীবন আমাদের, প্রতিবারই এমন হয়। এসব এখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।

বরিশাল থেকে লঞ্চে ঢাকায় ফেরা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী বাসেত মিয়া জানান, চার দিন ছুটি পেয়েছিলেন, যা গতকাল শেষ হয়েছে। সে জন্য গতকাল সন্ধ্যায় বরিশাল থেকে লঞ্চে ওঠে সকালে ঢাকায় পৌঁছান।