স্বরূপে ফিরছে রাজধানী

ঈদুল আজহা উদযাপনে লাখ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়িতে যাত্রা করায় ফাঁকা হয়ে পড়েছিল রাজধানী ঢাকা। ছুটি শেষে কর্মজীবী ও চাকরিজীবীরা ফিরতে থাকায় প্রাণ ফিরে পাচ্ছে ব্যস্ততম এই শহর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এরই মধ্যে লোকজন রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে আগামীকাল শুক্রবার (১৫ জুলাই) ও শনিবার (১৬ জুলাই) সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় রাজধানী পুরোপুরি স্বরূপে ফিরতে পারে রবিবার নাগাদ।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) উত্তর, মহাখালী, রামপুরা, মালিবাগ, গুলিস্তান ও সায়েদাবাদ ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীতে চলাচল করা গণপরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। যাত্রীদের চাপ কম থাকলেও সড়কে মানুষের উপস্থিতি গত দুই দিনের তুলনায় বেড়েছে। শুক্রবার ও শনিবার ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিন ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেলের চলাচল বেড়েছে। এসব যানে অফিসগামী মানুষকে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া রাজধানীর বড় বড় মার্কেট ও শপিংমলগুলো বন্ধ থাকলেও এরই মধ্যে অনেক দোকানপাট খুলে গেছে। তবে লোকজনের আনাগোনা কম থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন দোকানদার ও কর্মীরা। অবশ্য এরই মধ্যে পাড়া-মহল্লার মুদি দোকান ও খাবার হোটেলগুলোতেও ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে।

এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চঘাট এবং মহাখালী, গাবতলী ও সায়দাবাদ বাসটার্মিনালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসা দূরপাল্লার গাড়িতে যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা গেছে। এদিন সকাল থেকে ভরপুর যাত্রী নিয়ে ট্রেন, বাস ও লঞ্চ ঢাকায় ফিরেছে। উপচেপড়া চাপ না থাকলেও যাত্রীদের কমতি নেই। তবে বাসের চেয়ে ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা বেশি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়ক, রেল ও নৌপথে যাত্রীদের ভিড় শুক্রবার ও শনিবার সবচেয়ে বেশি থাকবে। এই সময়ে বিপুল সংখ্যক কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ রাজধানীতে ফিরবেন।

কমলাপুর রেলস্টেশনের কর্মকর্তারা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গতকালের চেয়ে আজ ট্রেনের যাত্রী অনেক বেড়েছে। বগির ছাদেও আসতে দেখা গেছে যাত্রীদের। যাত্রীদের মধ্যে কর্মজীবীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, পরিবার নিয়েও আসছেন অনেকে।

সংখ্যায় কিছুটা কম হলেও বিভিন্ন জেলা শহর থেকে এরই মধ্যে ঢাকায় আসছে বাস

গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পরিবহনকর্মীরা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা বাসে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

এ ছাড়া পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেকে সড়কপথে অনেকে ঢাকায় ফেরায় লঞ্চের যাত্রী কমেছে। গতদিনের চেয়ে যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়ার কথা জানিয়ে লঞ্চকর্মীরা বলছেন, যাত্রী সংখ্যা শুক্র-শনিবার আরও বাড়বে। নারী-শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের সংখ্যাটা বেশি।