ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি, ৫ ঘণ্টা আটকে ছিলেন বিমানের যাত্রীরা

প্রায় ৫ ঘণ্টা আটকে থাকার পর ভারতের কলকাতা থেকে দেশে ফিরেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ৩৯৬ ফ্লাইটের ১৫৮ জন যাত্রী। সোমবার (১৮  জুলাই) স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে কলকাতা থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা ছিল। পরে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাত ১টা ৪২ মিনিটে যাত্রা করে। উড়োজাহাজটির ল্যান্ডং গিয়ারে ত্রুটি হওয়ায় ফ্লাইটটি দেরিতে ছাড়ে। অন্যদিকে কলকাতা বিমানবন্দরের বিধি নিষেধের কারণে তীব্র গরমের মধ্যেই প্রায় ৫ ঘণ্টা উড়োজাহাজে আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের।

জানা গেছে, ভারতের কলকাতায় নেতাজি সুভাসচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে ১৫৮ যাত্রী নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৩৯৬ ফ্লাইট স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে কলকাতা থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল। বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজে চেপে যাত্রীরাও ফ্লাইট ছাড়ার অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে ককপিট থেকে যাত্রীদের জানানো হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে বিলম্বে ছাড়বে ফ্লাইট।

মূলত বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ারের সেন্সরে ত্রুটি দেখা দেয়। কলকাতায় বিমানকে কারিগরি সহায়তা দেয় জেট এয়ার। এ সমস্যা সমাধানে কাজ করে জেট এয়ারের প্রকৌশলীরা। ঘণ্টা খানেক পর ত্রুটি সারিয়ে উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের জন্য রানওয়ের পথে গিয়ে আবারও ফিরে আসে একই সমস্যায়। পরবর্তীতে পুরোপুরি সমস্যা সমাধান করে রাত ১টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি ছাড়ে।

এদিকে পুরোটা সময় উড়োজাহাজের ভেতরে আটকে ছিলেন যাত্রীরা। মেরামতের কারণে উড়োজাহাজ সচল রেখে এয়ারকুলার (এসি), লাইট জ্বালানো সম্ভব ছিল না। অন্যদিকে ইমিগ্রেশন হওয়া যাত্রীদের বিমানবন্দরে ফিরে আসার অনুমিত দেয় না কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে যাত্রীদের টার্মিনালে নিয়ে বসার ব্যবস্থাও করতে পারছিল না বিমানের ক্রুরা। তীব্র গরম, অন্ধকারে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যাত্রীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধা অসুস্থ বোধ করেন।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, ল্যান্ডিং গিয়ারের সেন্সরে ত্রুটি দেখা দিয়েছিল, যা কারণে এ সমস্যা হয়েছে। উড়োজাহাজ মেরামতের সময় বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ রেখে কাজ করতে হয়েছে, যার কারণে এসি চালানো যায়নি, যাত্রীদের কষ্ট হয়েছে। 

তিনি কলকাতা বিমানবন্দরের নিয়ম তুলে ধরে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিমানবন্দরে বসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এখানে সেটা পারা যায়নি।