ঢাকার কিছু এলাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

রাজধানীর ধানমন্ডি, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ফার্মগেট, মহাখালী, বনানী, গুলশানসহ  কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। গত কয়েকদিনের তীব্র ভ্যাপসা গরমের পর কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলো রাজধানীর মানুষ। এছাড়া দেশের বেশ কিছু এলাকায়ও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৯ জুলাই) থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। ফলে তাপমাত্রা কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।  

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেলে বৃষ্টির পরিমাণ এবং এলাকা বাড়বে। এতে আগের তুলনায় তাপমাত্রা কমে আসতে পারে।’

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বিকাল থেকে আকাশ ছিল কিছুটা মেঘলা। সকাল থেকেই সূর্যের তাপ ছিল অনেক বেশি। ভ্যাপসা গরমে হাসফাস অবস্থা ছিল মানুষের। এ অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ রাজধানীর কিছু এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি।  এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি হয়নি। টানা বৃষ্টি না হলে সাময়িক ঠান্ডা লাগলেও আবার তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং  উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর এবং নীলফামারী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কমতে পারে। এছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।