মাদক কারবারি সজীব নিজেই ছিল ক্যারিয়ার

কক্সবাজার-টেকনাফের অনেক মাদক কারবারি মিয়ানমারের বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কাছ থেকে ইয়াবা ও আইস সংগ্রহ করে নিজেরাই সেটা পৌঁছে দিচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কেউ কেউ ধরা পড়লেও অনেকেই রয়ে যাচ্ছে অধরা। এদের কেউ আবার বিক্রির টাকা পুরোটা পকেটে ভরতে মাদক বহন থেকে সরবরাহের কাজ করছে নিজে নিজে। সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে এমন এক কারবারি।

টেকনাফের মাদক কারবারি ২১ বছর বয়সী সজীব বড়ুয়াকে সোমবার (২৫ জুলাই) বিকালে টেকনাফ থেকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের টেকনাফ জোন। এ সময় তার কাছে থেকে উদ্ধার করা হয় ২০ হাজার পিস ইয়াবা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সজীব জানিয়েছে, ইয়াবাগুলো টেকনাফ থেকে সে নিজেই রাজধানীতে নিয়ে আসছিল। ঢাকার কারবারিদের কাছে নিজেই পৌঁছে দিচ্ছিল মাদক। তিন-চার বছর এভাবেই মাদকের ক্যারিয়ার-কাম-কারবারি হিসেবে কাজ করেছে। ধরা পড়েছে এবারই প্রথম।

সজীবের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পরে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হলে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সজীব আরও বলেছে, সে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাসে তিন-চারবার ইয়াবা পৌঁছে দিতো। পল্টন, খিলগাঁও, মতিঝিল, বাড্ডা, খিলক্ষেত ও উত্তরা ছিল তার প্রাথমিক জোন।

অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, কক্সবাজার থেকে মাদক পৌঁছে দেওয়ার কাজে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে নৌপথ। সড়কেও আসছে মাদক।

সড়কে আবার অনেকে মাদক বহন করছে ভেঙে ভেঙে। একটার পর একটা লোকাল বাস বদলে তারা আসছে ঢাকায়।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমারের মাদক কারবারিদের প্রলোভনে পড়ে বাংলাদেশের অনেক এ কাজে জড়াচ্ছে। বিশেষ করে ডেলিভারি পাওয়া ও বিক্রির পর টাকা পরিশোধের লোভ দেখিয়ে মাদকের পসার বাড়াচ্ছে উৎপাদক পর্যায়ের কারবারিরা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তালিকা ধরে আমরা অভিযান চালাই। ইয়াবা-আইসসহ মাদক কারবারি ও ক্যারিয়াররা গ্রেফতার হয়েছে।