এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ

সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু না হওয়ায় হাইকোর্টের অসন্তোষ

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আলোচিত গণধর্ষণের মামলায় নিম্ন আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত প্রশ্ন তুলে বলেছেন, জেলা জজ সাহেবরা কী এসব মামলা নিষ্পত্তিতে আগ্রহী নন?

ওই মামলার আসামি রবিউল হাসান ওরফে ইসলামের জামিন শুনানিকালে বুধবার (২৭ জুলাই) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ উষ্মা প্রকাশ করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী। আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আলী আহমেদ খোকন।

শুনানির শুরুতে আসামির আইনজীবী আদালতকে বলেন, সেদিনের ধর্ষণের সঙ্গে আসামি রবিউলের সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না। পরে এসেছেন।  

এসময় আদালত বলেন, এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ তো শুরু হয়ে গেছে। জবাবে আসামির আইনজীবী বলেন, প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি।

পরে আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, এমন চাঞ্চল্যকর মামলায় এখনও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু না হওয়া দুঃখজনক। জেলা জজ সাহেবরা কী এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে আগ্রহী নন?

এরপর আদালত মামলার আসামি রবিউল হাসানের জামিন নামঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন এক তরুণী। এসময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র ওই তরুণীকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। সেদিন রাতেই ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হলো− এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এর মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত। বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র ছিল। এরই মধ্যে এদের সবাই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ, আসামিদের হয়ে লড়ছেন না আইনজীবীরা