পুনর্নির্বাচনের দাবি দোহার পৌর মেয়র প্রার্থীদের

প্রিসাইডিং অফিসারদের অন্যায্য অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত দোহার পৌরসভা নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল স্থগিত করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দোহার পৌর মেয়র পদপ্রার্থীরা।

রবিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়ার পদপ্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের আগে নির্বাচন কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছিলেন ভোট গণনার সময় প্রত্যেক প্রার্থীর একজন করে এজেন্ট উপস্থিত থাকবেন। গণনা শেষে ইভিএম’র রেজাল্টের প্রিন্টেড সিলমোহর ও সই করা কপি প্রতিটি এজেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু গণনার সময় আমাদের এজেন্টদের সামনে রাখা হয়নি এবং ভোট গ্রহণ শেষে আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ কেন্দ্রেই ইভিএম’র ফলাফলের প্রিন্টেড কপি আমাদের সরবরাহ করা হয়নি। প্রিন্টেড কপি বদলে প্রিসাইডিং অফিসারদের হাতে লেখা কপি দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও কেন্দ্রে প্রিন্টেড কপি দিলেও তাতে সই ও সিলমোহর ছিল না। এ ঘটনাটি নির্বাচনি ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা ও কারচুপির আশঙ্কাকে স্পষ্ট করেছে।’

নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে একটি সুস্পষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি এবং প্রতিদান আশা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন– মো.নজরুল ইসলাম (হেলমেট প্রতীক), মো. জাহাঙ্গীর আলম (চামচ প্রতীক), মো. নূরুল ইসলাম (ইস্ত্রি প্রতীক), জামাল উদ্দিন আহমেদ (মোবাইল ফোন প্রতীক), আব্দুর রহমান আকন্দ (নারিকেল গাছ প্রতীক)।