টিপু হত্যা মামলায় সোহেল ও মারুফ কারাগারে

রাজধানীর শাজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যা মামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড সোহেল শাহরিয়ার ওরফে শর্ট গান সোহেল ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহকারী মারুফ রেজা সাগরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, সোমবার (১ আগস্ট) আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। ওইদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম দুই দিনের রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ মার্চ রাতে শাজাহানপুরের আমতলী এলাকায় অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু। তার মাইক্রোবাসের পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিতে নিহত হন। আহত হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করে ডিবি।

পরে গত ১ এপ্রিল রাতে এই চার জনকে গ্রেফতারের কথা জানায় র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে নজরদারির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, হত্যার জন্য দেওয়া ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় বলেও জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুর আস্থাভাজন রিজভী হাসান ওরফে বোচা বাবুকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ডের মামলায় টিপু হত্যা মামলায় গ্রেফতার চার জনই আসামি ছিলেন। সেই হত্যাকাণ্ডে অন্যতম ভূমিকা পালন করে আরেক সন্ত্রাসী মুসা। সে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ-বিকাশের সহযোগী বলে পরিচিত। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে মামলাটির গতি চলমান থাকায় ‘ফাঁসি হতে পারে’ এমন শঙ্কা থেকে তারা টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করে।