চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে তৈরি স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী, আকবরশাহ, খুলশীসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কেটে তৈরি করা ঘর ও অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক ও জেলা প্রশাসককে (ডিসি) স্থানগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তিন মাস পরপর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি এসব এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কেটে ঘর ও স্থাপনা তৈরির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক ও জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে আগামী ১ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত।

এসব ঘর ও স্থাপনা তৈরির ঘটনায় ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাহাড় কাটা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, আর কর্তনকৃত পাহাড় পূর্বের ন্যায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। 

রবিবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ রায়।

এর আগে, গত ২৬ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে “চট্টগ্রামে পাহাড়ে লোভের কোপ: পাহাড় কেটে প্লট, উঠছে দালান” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বায়েজিদ বোস্তামীতে পাহাড় কেটে প্লট বাণিজ্য এবং এসব প্লটে দালান বানিয়ে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। পরে সেসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে গত ১ আগস্ট মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) রিট দায়ের করে।