বঙ্গবন্ধুর সফলতার পেছনে ছিলেন বঙ্গমাতা: পরিকল্পনামন্ত্রী

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার পেছনে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের হাত ছিল’ মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ আবদুল মান্নান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করি, তিনি তার মায়ের মতো করেই কথা বলেন কেবিনেট মিটিংয়ে। তিনি তার মায়ের সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় রান্না করার গল্পও করেন।’

সোমবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘বঙ্গমাতা: ইতিহাসের সাহসী মানুষ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এম এ আবদুল মান্নান বলেন, উপমহাদেশের আগের নেতারা ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ড, আলীগড়; নিদেনপক্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ছিল। এই প্রথম আমরা আকাশ থেকে নামলাম। শেখ মুজিবকে নেতৃত্ব দিতে দেখলাম। যিনি বাংলার মাটি থেকে উঠে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু সফল হয়েছিলেন। কারণ, তিনি গ্রামের মানুষ, কৃষক, শ্রমিক এদের নিয়ে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও তার পিতার মতো গ্রামগঞ্জ নিয়ে ভাবেন।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সহধর্মিণীর মতো বঙ্গমাতা সহমরণ বেছে নিয়েছিলেন মন্তব্য করে শিক্ষাবিদ ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম বলেন, ‘এ দেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গমাতার ভূমিকা অনন্য। ৬ দফার আন্দোলনকে সফল করার জন্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি, যার সাক্ষী আমি নিজেই।’

শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের বটবৃক্ষ, বঙ্গমাতা আমাদের ছায়াবৃক্ষ। বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ের ডাক্তার ছিলেন বঙ্গমাতা।’

সভাপতির বক্তব্যে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গাফফার চৌধুরী একবার পত্রিকা বের করতে পারছিলেন না। বঙ্গবন্ধুকে বললে তিনি টাকা নেওয়ার জন্য পরদিন দেখা করতে বলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রাতেই গ্রেফতার হয়ে জেলে চলে যান। গাফফার চৌধুরী যখন ঘোর দুশ্চিন্তায় তখন বঙ্গমাতা তাকে ডাকলেন পরের দিন। টাকা দিয়ে বঙ্গমাতা বলেন, বঙ্গবন্ধু আপনাকে এই টাকা দিতে বলেছেন। এরকমই দায়িত্বশীল ছিলেন বঙ্গমাতা।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা।