কোভিড বিষয়ে জনসচেতনতায় দ্য হাঙ্গার ও ইউনিসেফের অভিজ্ঞতা বিনিময়

আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের উদ্যোগে ও ইউনিসেফের সহায়তায় ‘স্ট্রেন্থেনিং রিস্ক কমিউনিকেশন অ্যান্ড কমিউনিটি এঙ্গেজমেন্ট অ্যান্ড ভ্যাকসিন কমিউনিকেশন ফর কোভিড-১৯ প্রিভেনশন’ শীর্ষক প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা আয়োজিত হয়েছে। সোমবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের পরিচালক (কর্মসূচি) নাছিমা আক্তার জলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাটি পরিচালনা করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল। সভায় অতিথি আলোচক হিসেবে ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বেনজির আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ইফতেখার রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (আইসিটি) মো. রফিকুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের কনসালটেন্ট ডা. তৌফিক জোয়ারদার, ইউনিসেফ’র এসবিসি ম্যানেজার বদরুল হাসান প্রমুখ।

প্রকল্পটির পরিচালক সাকিনা সুলতানা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সার্বিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। প্রকল্পের উপ-পরিচালক দিলীপ কুমার সরকারের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এছাড়া বাস্তবায়নকারী সংগঠন এডাব, সাজেদা ফাউন্ডেশন, বিসিআরএ এবং বিএনএনআরসি’র কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বলেন, ‘এই প্রকল্পটি মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। কোভিড-১৯ সংক্রামণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ঝুঁকি চিহ্নিত করা, জনগণকে সম্পৃক্ত করা, টিকা নেওয়ার বিষয়ে জনগণকে সচেতন ও উৎসাহিত করা।’

তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞানসম্মতভাবে সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। কোনও তথ্য গোপন করা যাবে না। জনগনকে সচেতন করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক এবং এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের এ কাজে যুক্ত করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য চাইল্ড টু চাইল্ড অ্যাপ্রোচ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রশিক্ষণ নিয়ে পরবর্তী সময়ে তারা অন্য শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন করবে। তাদের ক্ষুদে চিকিৎসক বলা যেতে পারে।’