সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার নজির বড়ই নির্মম: মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ১৫ আগস্টের হৃদয় বিদারক ঘটনা বাঙালি জাতির ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতকের জাতির কলঙ্ককালিমা লেপন করেছে। বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের সব সাধ-আহ্লাদকে বিসর্জন দিয়ে, বৈরী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কারাগারে অধিকাংশ জীবন কাটিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন একটি জাতি। তিনি বলেন, ‘সেই জাতিরই কিছু কুলাঙ্গারের হাতে সপরিবারে নিহত হওয়ার নজির বড়ই বেদনাদায়ক ও নির্মম! বিদেশে থাকার কারণে সৌভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান।’

সোমবার (১৫ আগস্ট) ঢাকায়  জিপিও মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস  ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশকে মৌলবাদী পাকিস্তানপন্থী তাবেদার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  বিটিআরসির চেয়াররম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক অধিদফতরের  মহাপরিচালক  মো. ফয়জুল আজিম এবং বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন বক্তৃতা করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ল্যাফট্যানেন্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের দৃঢ়তার বিভিন্ন ঘটনাবলী তুলে ধরেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও  বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি কাঠামো দাঁড় করিয়েছেন, প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছিলেন, পরমাণু শক্তি কমিশন গঠন, টিএন্ডটি বোর্ড স্থাপন, উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। কুদরত-ই –খোদা শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষার আমুল পরিবর্তনের সূচনা করে ছিলেন। দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরকে যুগের চাহিদা মেটানোর উপযোগী করে গড়ে তোলার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেন। বস্তুত পক্ষে একবিংশ শতাব্দির আজকের জীবন যাপন এবং ৪১ সালে যেখানে বাংলাদেশ পৌঁছাবে, তার বীজ বপন করে গেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে ১৮ বছরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ বেয়ে, তা অংকুরিত করে বৃক্ষে রূপান্তরিত করেছেন।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বঙ্গবন্ধুকে জানতে নতুন প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীসহ তাঁকে অধ্যয়ন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ১৯৪৭ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান জাতি। কারণ, আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতা পেয়েছি।’

এর আগে সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।