হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বেঁচে যাওয়া নবদম্পতি

রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারের ওপর গার্ডার পড়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া নবদম্পতি হৃদয় ও দিয়া মনির আহাজারি কমছেই না। হৃদয় তার বাবাকে হারিয়েছেন। দিয়া মনি হারিয়েছেন মাকে। সেই সঙ্গে নিহত হয়েছে পরিবারের আরও ৩ সদস্য। পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন এই নবদম্পতি। তেমন কথা বলছেন না কারও সঙ্গে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয় হৃদয় ও রিয়া মনিকে।

পরিবারের এক সদস্য বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রিয়া মনিকে দক্ষিণখানে এক আত্মীয়ের বাসায় রাখা হয়েছে। পায়ে আঘাত পাওয়ায় চলাফেরা করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলেছেন আরও কিছু দিন রেস্ট নিতে হবে। সে কারণেই তাকে ওই বাসায় রাখা হয়েছে। এছাড়া হৃদয় কিছুটা আঘাত পেলেও সে তার বাবার মরদেহ দাফনের জন্য মেহেরপুরে রওনা হয়েছেন।

এদিকে হৃদয়ের বাবা নিহত রুবেলকে স্বামী দাবি করেছেন চার নারী।

হৃদয় বলেন, আমার বাবা দুই বিয়ে করেছেন। অন্যান্য যারা এসেছেন তাদের আমি চিনি না। আমি এখন বাবাকে কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের জীবনে এমন শোক নেমে আসবে কখনও ভাবিনি। বিয়েতে অনেকে আনন্দ করলাম আর এখন কান্নাকাটি ছাড়া আর কিছুই না।

জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পুলিশের কাছ থেকে মরদেহ বুঝে পেয়ে দাফনের জন্য নিয়ে গেছে পরিবারের সদস্যরা। রুবেলকে কবর দেওয়া হবে মেহেরপুরে। এছাড়া, নববধূ রিয়া মনির মা ফাহিমা বেগম, খালা ঝরনা ও ঝরনার ২ সন্তানকে কবর দেওয়া হবে জামালপুরে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) দক্ষিণ খানে বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে আশুলিয়া যাওয়া পথে উত্তরার জসীমউদদীনে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে পৌঁছালে বিআরটি প্রকল্পের একটি ক্রেন থেকে গার্ডার  প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। এতে ৫ জন নিহত হন।