নারীর ক্ষমতায়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

সার্বিক উন্নয়ন ঘটিয়ে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূলে নারীর ক্ষমতায়নে অনেক প্রসার ঘটেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সোমবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে ইউনাইটেড ন্যাশন্স ভলান্টিয়ার বাংলাদেশ এবং অ্যাকশন এইড বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা আয়োজিত ‘ইন্সপায়ারিং উইম্যান ভলান্টিয়ার্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী এবং নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার এখন নারী। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অনেক নারী সচিব আছেন। বিচারপতি, এসপি-ডিসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নারীরা প্রধান হিসেবে কর্মরত। নারীর ক্ষমতায়নে এসব মাইলফলক। নারী-পুরুষের বৈষম্য নিরসনে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

মো. তাজুল ইসলাম জানান, দেশের নগর এবং গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু সেগুলো বিচ্ছিন্নভাবে চলছিল। স্বেচ্ছাসেবাকে একটি প্ল্যাটফর্মে এবং মর্যাদার স্থানে নিয়ে আসতে সরকার দেশে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। যা ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দিয়েছেন। এই নীতিমালা কার্যকর হলে যারা বিনা পারিশ্রমিকে সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করছেন তারা একটি মর্যাদার আসনে আসীন হবেন।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ড।

উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে ১৫ নারীকে পুরস্কৃত করা হয়।