এক মাসে ৯৮ ধর্ষণ: মহিলা পরিষদ

গত এক মাসে ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ৯৮ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (৩১ আগস্ট) এ তথ্য জানানো হয়। পাশাপাশি আগস্ট মাসে মোট ৩৬৬ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানায় সংগঠনটি।

মহিলা পরিষদ জানায়, ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীদের মধ্যে ১৩ জন কন্যাশিশু ও ৯ জন নারীসহ ২২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ২ জন কন্যাশিশু ও ২ জন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ৮ জন কন্যাশিশুসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

এছাড়া, ২২ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ২১ জন কন্যাশিশু। ১৯ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ১৮ জন কন্যাশিশু এবং তার মধ্যে একজন উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। নারী ও কন্যাশিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে ২১টি। এরমধ্যে ৩ জন কন্যাশিশু। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছেন ২ জন। এরমধ্যে একজন কন্যাশিশু।

অন্যদিকে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৫ জন। এরমধ্যে একজন কন্যাশিশুসহ পাঁচ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৯ জন। এরমধ্যে ৮ জন কন্যাশিশু। পারিবারিক সহিংসতা শিকার হয়েছেন ৭ জন। এরমধ্যে দুই জন কন্যাশিশু। গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুই জন। এরমধ্যে একজনকে হত্যা করা হয়েছে, একজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন কারণে পাঁচ জন কন্যাশিশুসহ ৪০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ৩ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৩ জন কন্যাশিশুসহ ২৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন কন্যাশিশুসহ ৩০ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৩ জন কন্যাশিশুসহ ৫ জন আত্মহত্যার প্ররোচণার শিকার হয়েছেন। ১৩ জন কন্যাশিশুসহ ১৫ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও একজন কন্যাশিশুকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। ৩ জন কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন ৭ জন। বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ৫টি। বাল্যবিয়ের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ৭টি। এছাড়া ৫ জন কন্যাশিশুসহ ১০ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।