হিজড়া সেজে পরিবহনে চাঁদা তুলতো তারা

‘হিজড়া সেজে’ পরিবহনে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের বিএনএস টাওয়ারের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদে তারা সবাই পুরুষ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। তাদের রিমান্ডে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের আসল পরিচয় বের করতে কাজ করছে পুলিশ।

বাসযাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা নিজেদের হিজড়া পরিচয় দিয়ে তাদের নাম বলেছে মৌসুমী (৩২), অনিকা (২৯), তুলি (২৪) ও দুলী (২৫)। তবে তাদের মাথার নকল চুল ও মেকআপ ধুয়ে ফেলার পর আসল চেহারা ফুটে ওঠে। তারা পুলিশের জেরার মুখে নিজেদের পুরুষ বলে স্বীকারও করেছে। তবে পুলিশ আরও নিশ্চিত হতে চায়।

এসব বিষয় নিশ্চিত করেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন। তিনি বলেন, গ্রেফতার চারজন দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনে চাঁদাবাজি করতো। চাঁদা না দিলে তারা আপত্তিকর আচরণ করতো।

Hizra

তিনি আরও বলেন, তারা আজ উত্তরা পশ্চিম থানার ৭ নম্বর সেক্টরের বিএনএস টাওয়ারের সামনে এনা পরিবহনের ম্যানেজার জিয়াউল হকের কাছে ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে যাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ শুরু করে। পরে ম্যানেজারের পকেট থেকে ১ হাজার ১০ টাকা নিয়ে যায়। আরও ৪৯০ টাকার জন্য কাউন্টারের সামনে চেঁচামেচি করতে থাকে। এ ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় জিয়াউল হক বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেছেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন।
 
উত্তরায় যেসব হিজড়া রয়েছে, তাদের সংগঠনের এরা কেউ নয় জানিয়ে ওসি বলেন, ‌‘তাদের বিষয়ে সংগঠনের কেউ থানায় আসেনি। সাধারণত হিজড়াদের থানায় আটক বা গ্রেফতার করলে তাদের গুরু মায়েরা থানায় আসেন। তবে এদের ক্ষেত্রে কেউ খবর নেয়নি।’

আগামীকাল রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও সত্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান ওসি।