রবিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলের ২৩৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
জুবায়ের টিপু বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪০ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। ঘটনার বিচার চেয়ে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
প্রক্টর তপন কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ায় এটি হল প্রশাসন দেখবে।’
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইশতিয়াক আহমেদের (প্রাণিবিদ্যা, ৪২ তম আবর্তন) নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ৪-৫ জন কর্মী জুবায়েরকে তার কক্ষ (২৩৪) ছেড়ে অন্য একটি কক্ষে (২২৭) যেতে বলে। এজন্য তারা এক দিনের আল্টিমেটাম দেয়। জুবায়ের ব্যাপারটি হল প্রভোস্ট মোহাম্মদ আলমগীর কবিরকে অবহিত করেন।
এরপর রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী ইশতিয়াক আবারও কক্ষ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। জুবায়ের কক্ষ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে ইশতিয়াকের নেতৃত্বে ইয়াছিন (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান), দীপ, নাজমুল (গণিত), তৌফিক, রাফি (উদ্ভিদবিজ্ঞান) সহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী এসে তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় তারা জুবায়েরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং কক্ষের জিনিসপত্র তছনছ করে ৩০ মিনিটের মধ্যে কক্ষ ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
জুবায়ের টিপু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আধা ঘণ্টার মধ্যে কক্ষ না ছাড়লে তারা আমাকে মৃত্যুর হুমকি দেয়। আমি তৎক্ষণাৎ হল প্রভোস্ট আলমগীর স্যারকে ফোন করি। কিন্তু স্যারকে ফোনে না পেয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক গোলাম রব্বানী স্যারকে অবহিত করি।’
এ অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ কর্মী ইশতিয়াক বলেন, তার গায়ে হাত তোলার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। জুনিয়রদের ২৩৪ নম্বর কক্ষে সিট দেওয়া হবে বলে তাকে অন্য একটি কক্ষে ওঠার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘আমি এখনও অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।’
এ ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাংস্কৃতিক জোট।
/এফএস/