‘সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ছে’

সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য ও জুসসহ বিভিন্ন পানীয় পণের চাহিদা বাড়ছে। আগামী দিনে এসব পণ্যের রফতানি বাড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই দেশে বসবাসরত প্রায় ২৬ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী ও অন্যান্য এশিয়ান দেশের অভিবাসীদের কাছে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে, যা দিন দিন বাড়ছে। সেইসঙ্গে  সৌদি নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য রফতানি করা সম্ভব হলে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের বিশাল বাজার তৈরির সুযোগ রয়েছে।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রিয়াদের আন্তর্জাতিক এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় পণ্যের মেলা ‘ফুডেক্স সৌদি’তে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এসব কথা বলেন।

রিয়াদে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ দিনব্যাপী নবম আন্তর্জাতিক ‘ফুডেক্স সৌদি’ মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় ৩০টি দেশের প্রায় দুই শতাধিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে বাংলাদেশের ৪টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— বেঙ্গল মিট প্রসেসিং, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এবং এস অ্যান্ড বি নাইস ফুড ভ্যালি লিমিটেড।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ মেলা পরিদর্শন করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন,‘ বাংলাদেশি পণ্য বিশ্বমানের এবং আশা করা যায়, মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বাজার ও রফতানি আরও  বৃদ্ধি পাবে। সৌদি আরবের বাজারে মাছ-মাংসসহ  সব খাদ্যপণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে যেসব মান অর্জন করা দরকার, তা নিশ্চিত করে পণ্য রফতানি সুগম করার জন্য দূতাবাস নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি জানান, সৌদি আরবের বাজারে ইতোমধ্যে প্রাণ, বিডি ফুডসহ বিভিন্ন বাংলাদেশি কোম্পানির পণ্য রয়েছে। তিনি এসব পণ্যের বাজারজাতকরণ, প্রচার এবং উন্নতমানের প্যাকেজিংয়ে গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব প্রায় ৮০ শতাংশ খাদ্যপণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে। তাই এখানে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।’