শ্বাস নিচ্ছেন, খাবার খেতে পারছেন আবু হেনা রনি

স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন গাজীপুরে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি। তিনি স্বাভাবিক খাবারও খেতে পারছেন, কথা বলতে পারছেন। এ ছাড়া আহত দগ্ধ পুলিশ কনস্টেবল মো. জিল্লুর রহমানের অবস্থাও আগের চেয়ে ভালো।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলা ট্রিবিউনকে এসব কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। দুজনকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত শনিবার নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ডা. সামন্ত লাল বলেন, ‘আজ সকালে দেখে এসেছি। তারা ভালো আছে। আগের থেকে অনেক ইমপ্রুভ করেছে। আমরা শনিবার আরেকটি ড্রেসিং খুলবো। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো কেবিনে স্থানান্তর করার।

তিনি আরও বলেন, ‘তার (আবু হেনা রনি) শ্বাসনালির যথেষ্ট ইমপ্রুভ হয়েছে। সকালে দেখলাম ভালোই কথা বলতে পারছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান চলাকালে বেলুন বিস্ফোরণ হয়ে পাঁচ জন দগ্ধ হয়। এ সময় দগ্ধ হন কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, গাজীপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন, গাছা থানার কনস্টেবল রুবেল মিয়া, টঙ্গী পূর্ব থানার কনস্টেবল জিল্লুর রহমান এবং গাছা থানার আরেক কনস্টেবল মো. ইমরান হোসেন। ঘটনার পরপরই দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। তবে রনির শরীরের ২৫-৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এ ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ক্রাইম উত্তর উপকমিশনারকে সভাপতি করে চার সদসের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন...

গাজীপুরে বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে কমিটি

অভিনেতা রনির শরীরের ২৫-৩০ শতাংশ দগ্ধ: চিকিৎসক

পুলিশের অনুষ্ঠানে অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ দগ্ধ ৫