আরও ৫৬ দিনের কাস্টডিতে পি কে হালদার

বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ অন্য অভিযুক্তদের ৫৬ দিনের জন্য হাজতে পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নগর দায়রা আদালত। তাদের আগামী ১৭ নভেম্বর ফের আদালতে তোলা হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) পি কে হালদারসহ অর্থ কেলেঙ্কারি মামলার অন্য আসামিদের ৫৬ দিনের হাজতবাসের নির্দেশ দেন কলকাতার নগর দায়রা আদালতের (সিবিআই স্পেশাল কোর্ট-৪) বিচারক বিদ্যুৎ কুমার রায়।

এর আগে গত ১০ আগস্ট পি কে হালদার ও অন্য আসামিদের আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশের ব্যাপারে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থার (ইডি) আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী বলেন, আসামিদের হাজতবাসের নির্দেশনা তাদের আইনজীবীর হাতে সাড়ে চাড় হাজার পাতার ‘রিলায়েড আপন কপি’ তুলে দেওয়া হয়েছে। বিচারকের নির্দেশ অনুসারে পি কে হালদারসহ ছয় আসামির কাছ থেকে কপি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বিচারকের নির্দেশের আগে আসামিদের যেন জেল হেফাজতে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, তার অনুমতি প্রার্থনা করা হয়। বিচারক এতে সম্মতি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আসামিদের ব্যাপারে ইডি যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে, সেগুলো থেকে অভিযোগ হিসেবে যেসব যোগ্য মনে করা হয়েছে, সেটিকে ভারতীয় আইনের ভাষায় রিলায়েড আপন কপি বলা হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা পি কে হালদার ও তার ছয় সহযোগীকে গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে তাদের ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ২৭ মে আদালতের রায় অনুযায়ী, বিচার বিভাগীয় তদন্তের কারণে ১১ দিনের জুডিসিয়াল কাস্টডি (জেসি) হয় পি কে হালদারদের।

পরে গত ৭ জুন আবার তাদের আদালতে তোলা হল। এ সময় ১৪ দিনের জুডিসিয়াল কাস্টডিতে পাঠানো হয় তাদের। ২১ জুন আদালতে তোলা হলে আসামিদের আরও ১৪ দিন কাস্টডি মঞ্জুর করে আদালত। গত ১৫ জুলাই দেওয়া আদালতের রায় অনুযায়ী, গত ১০ আগস্ট শুনানি হয় আসামিদের।

পি কে হালদার ও তার চার সহযোগী আছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। তাদের সঙ্গী ও নারী সহযোগী আমিনা সুলতানাকে কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে।