নিজেদের জমি ফিরে চায় জাতীয় বধির সংস্থা

পুরান ঢাকার লালবাগে ঢাকা বধির হাই স্কুলের নামের জমি বেদখল হয়ে আছে অভিযোগ করে, তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংস্থাটির আয়োজনে এক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

বধির শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিজয়নগরে একটি সংকীর্ণ জায়গায় লেখাপড়া করছে উল্লেখ করে সমাবেশে সংস্থার সভাপতি শাহাদাৎ আলম হারু চৌধুরী বলেন, ‘লালবাগে স্কুলের জমিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি ছয়তলা ভবন বরাদ্দ করা হলেও জায়গাটি বেদখল থাকায় তা নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

জমিটি স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি সেলিম দখল করে রেখেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, জমিটি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তা দেওয়া হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল যে, এক মাসের মাথায় বধির শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য এই জায়গাটি তিনি ছেড়ে দেবেন। জেলা প্রশাসককে জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, দেশের সুবিধা বঞ্চিত শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সাল থেকে সংস্থার প্রধান শিক্ষা প্রকল্প হিসাবে ঢাকা বধির স্কুল স্থাপিত হয়। স্কুলটি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে।

ঢাকা বধির হাই স্কুলের সম্প্রসারণ ও বৃহৎ পরিসরে স্কুল স্থাপনের উদ্দেশ্যে ৫ লাখ টাকা মূল্যের বিনিময়ে বিগত ২০০৪ সালে ঢাকা জেলার লালবাগ থানাধীন লালবাগ মৌজার এস এস-১নং খতিয়ানভুক্ত সাবেক ২০৬৫ নং দাগের এক একর (আংশিক) জায়গা ঢাকা বধির হাই স্কুলের নামে বরাদ্দ করা হয়। ২০০৫ সালে লিজ দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে ১১ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদান করেন। যার নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন কর ১৪২৬ বাংলা সন পর্যন্ত পরিশোধিত আছে। লিজকৃত জমি পুনরায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবরে দানপত্র দলিল মূলে ন্যাস্ত করায় স্কুলটি ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জাতীয়করণ করা হয়েছে।